মা’কে বাঁচিয়ে না রাখলে ভাষা ও থাকবে না : আনোয়ার আকাশ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভয়েস অফ এমেরিকা, বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক আনোয়ার আকাশ এর একটি সাক্ষাৎকার সরাসরি সম্প্রচার করে। সাক্ষাৎকার গ্রহণে ছিলেন স্বনামধন্য সাংবাদিক আনিস আহমেদ। এখানে সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

Parliament

একুশে ফেব্রুয়ারির যে দাবি এক সময়ে রাষ্ট্রিক স্বীকৃতি পায়নি , বাঙালির সৌভাগ্য যে আজ তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের এই দিনটি এখন আর কেবল বাঙালির শহীদ দিবস নয় , এখন তা জাতিসংঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস। পৃথিবী ব্যাপী প্রান্তিক ভাষাগুলোর অধিকার আদায় এবং স্বীকৃতির দিন হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারির এই মর্যাদায় বাংলাদেশের মানুষ গর্বিত।

বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা এখন আর কেবল বাংলাদেশের মধ্যে সীমিত নয় , এই আগ্রহ এবং উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের বাইরেও, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে। সেই উদ্যোগের এই ফল হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বাংলা একাডেমি । দশ বছর আগে সিডনিতে প্রতিষ্ঠিত এই বাংলা একাডেমি এখন আর সিডনিতেই সীমা বদ্ধ নয়, অস্ট্রলিয়ার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার আকাশ , ভয়েস অফ আমেরিকার আনিস আহমেদকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বলছিলেন যে প্রবাসে বেড়ে ওঠা আগামি প্রজন্মকে বাংলা , ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে , এর গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে সজাগ করার জন্যই মূলত এই উদ্যোগ নেওয়া । তিনি বলেন যে অস্ট্রেলিয়ার বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশের বাংলা একাডেমি দুটি আলাদা প্রতিষ্ঠান কিন্তু পরস্পরের সম্পর্ক পরিপূরক এবং সহযোগিতা মূলক। অস্ট্রেলিয়ার বাংলা একাডেমির প্রসার ও প্রচারের জন্য আনোয়ার আকাশ বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার বুদ্ধিজীবিদের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। বিশেষত তিনি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন , বাংলাদেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রতি যাঁর প্রেরণায় এই সংগঠন প্রাণিত হয়েছে।

আনোয়ার আকাশ গত দশবছরে তাঁদের কার্যক্রমের প্রসার প্রসঙ্গে বলেন যে তাঁরা অনেকগুলো প্রকল্প পরিচালনা করছেন , যেমন কোয়ালিটি ইন হাইয়ার এডুকেশান , স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসাডর লিডারশীপ প্রোগ্রাম, মাই ল্যাংগুয়েজ মাই ফ্রিডম , অনুবাদ ও দোভাষি পরিষেবা , উদ্যোক্তামূলক কার্যক্রম ইত্যাদি। তিনি বিশেষত স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসাডর লিডারশীপ প্রোগ্রাম প্রসঙ্গে বলেন যে এই কর্মসূচির অধীনে তিনি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বাঙালি শিক্ষার্থীদের তাদের মার্তৃভূমি ও মার্তৃভাষার সঙ্গে সম্পৃক্ততার উদ্যোগের কথা বলেন।
Every man, at some points of life, goes through the condition either for several nights or viagra usa mastercard several months. To endure a variety of handling procedures, electrical chain hoists are also available in cheap viagra in usa different speed capacities. As per the Journal of Sexual Medicine, men that work out 18 MET (metabolic equivalents) or more a viagra canadian pharmacy week had notably better sexual function than men that are suffering from it but young men can be the ones with doctor’s that provide continual assistance and staff that provide the cure of ED in males. Make sure to take this in three or four times generic cialis 5mg before it works for you in some cases.

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ছয় হাজার ভাষার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ভাষাই এখন বিলুপ্তির পথে। অস্ট্রেলিয়ায়ও আদিবাসীদের ভাষা একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে । এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার আকাশ বলেন যে এ কারণেই তাঁরা মাই ল্যাংগুয়েজ মাই ফ্রিডম প্রকল্পটি চালু করেছেন। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বাংলা একাডেমির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে সেখানকার অষ্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল রেডিও সহ কয়েকটি বেতার প্রতিষ্ঠান । মূল ধারা স্কুলগুলোকেও অস্ট্রেলিয়া বাংলা একাডেমি পার্টনার শীপে আনছে। তিনি বলেন ভাষার আদি জায়গাটা হচ্ছে মা । মা’কে আমরা যদি বাঁচিয়ে না রাখি তা হলে , ভাষা থাকবে না। সে কারণেই তাঁদের একটি প্রচার অভিযান হচ্ছে , মা আমি তোমাকে ভালোবাসি। আনোয়ার আকাশ বলেন ভাষার এই গুরুত্ব যদি প্রত্যেকটা মানুষ বুঝতে পারেন , বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালিরা যদি এগিয়ে আসেন তা হলে ভাষা দিবসটাকে , তা হলে এই ভাষা দিবসটাকে আমরা সত্যিকার অর্থে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে পারবো।

সাক্ষাৎকার এর লিঙ্ক |

https://www.voabangla.com/a/interview-with-anwar-akash-on-australian-bangla-acdemy-interview/3199702.html

ভয়েস অফ অ্যামেরিকার সৌজন্যে প্রাপ্ত |