বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়া

আমাদের সম্পর্কে

অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশন নিয়ে কারা আসছেন?

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের জন্য মানুষের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ চায় এ দেশটিতে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে দেশটি নাতিশীতোষ্ণ অর্থাৎ অতি গরম বা অতি ঠাণ্ডার দেশ নয়। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকার কর্মদক্ষতার প্রেক্ষিতে এ তালিকা করে থাকে। সে তুলনায় গত বছর এশিয়া থেকেই সবচেয়ে বেশী মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। মোট মাইগ্রেশনের ৫৬ শতাংশ এসেছেন জনগণের ভারে জর্জরিত এশিয়া মহাদেশ থেকে। সব চেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে পৃথিবীর তাবৎ ভুখণ্ডের মধ্যে এশিয়াতে সবচেয়ে বেশী কর্মদক্ষ মানুষ আছে বলে গণ্য করা হয়। ভারত ৩৮,২৬৪ জন এবং চীন ২৯,৬০৪ জন নিয়ে এ তালিকার শীর্ষে। বাংলাদেশের অবস্থান ২,৪৫৭ জন নিয়ে ২০তম।

মাইগ্রেশনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের তালিকায় আছে কানাডা, এমেরিকা, যুক্তরাজ্য। সবাই নিজ নিজ দেশের জন্য কর্মদক্ষ মানুষ খোঁজেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে দক্ষদের সুযোগ দেয়া হয়।

কি ভাবছেন বাঙ্গালি? বাংলাদেশের ২,৪৫৭ জন এবং ভারতের ৩৮,২৬৪ জনের একটা বড় অংশের কর্মদক্ষ বাঙ্গালি আসছেন অস্ট্রেলিয়ায়। একই ভাবে তারা বসতি গড়ছেন কানাডা, এমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ইউরোপের উন্নত দেশ গুলোতে। আধুনিক যুগ প্রবলভাবেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যুগ। কাজে লাগাতে হবে প্রতিটি মুহূর্তকে। আর তাই বাঙ্গালিকে হতে হবে কর্মদক্ষ এবং শিক্ষায় উন্নত। সার্টিফিকেট সর্বস্ব লেখাপড়া বন্ধ করে স্বশিক্ষিত হতে হবে সবাইকে। আগামী দিনগুলোতে বাঙ্গালি আর প্রবাসমুখো হবেন না এটাই প্রার্থনা। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল, অর্থাৎ অতি গরম বা অতি ঠাণ্ডার দেশ নয়। প্রয়োজনে বাঙ্গালি নিজেরাই মাইগ্রেশন পদ্ধতিতে আনবেন বিদেশ থেকে দক্ষ মানুষ। বাঙ্গালি এভাবেই পারে পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করতে। নিজেদের সুনাম বৃদ্ধি করতে। এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে। এভাবেই এগিয়ে যেতে হয়।