প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সিডনি পার্লামেন্ট হাউজে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন | একাডেমির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের ১০ বছর

২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬, সিডনি, নিউ সাউথ ওয়ালেস
– অনিন্দিতা আহমেদ, তানিয়া চৌধুরী, শরিফা শারমিন. সিডনি থেকে

MLMF-IMLD-2016-image-700

বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার আমন্ত্রণে সিডনির পার্লামেন্ট হাউজে জড় হয়েছিলেন সিডনির বিভিন্ন ভাষা ও সম্প্রদায়ের মানুষ। মহান ভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এ বছর ১৯, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী একাডেমি আয়োজন করেছিল তিন দিন ব্যপি অনুষ্ঠানমালা। এ অনুষ্ঠান গুলো হয়েছে সিডনির পার্লামেন্ট হাউস, একাডেমির এপিং ও ব্ল্যাকটাউন কেন্দ্রে।

প্রথম দিন ছিল ‘আমার ভাষা আমার স্বাধীনতা’ ইংরেজিতে ‘My Language My Freedom’ শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এবং সিডনি’র স্বনামধন্য Radio 2SER এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিঃ স্তিভ আহার্ন। প্রধান অতিথি ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজের প্রিমিয়ারের বিশেষ প্রতিনিধি এবং প্যারামাটার সাংসদ ডঃ জেফ লি এমপি। সেমিনারের শুরুতেই ‘আমার ভাষা আমার স্বাধীনতা’ বিষয়ক পরিচালক আনোয়ার আকাশের লেখা চার পৃষ্ঠার নিরীক্ষণধর্মী একটি প্রস্তাবনা উপস্থিত সুধীজনদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়ার আদিভাষা গুলো বিলুপ্ত হবার আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং বাংলা একাডেমির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানটির প্রতি তার সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আগামীতে এ উদ্যোগ চালিয়ে যাবার গুরুত্ব ব্যক্ষা করেন।

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতিসেবী সংগঠন গুলো বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার প্রতি তাদের একাত্মতা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি উদযাপন করেন। অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম এবং একাডেমির মিডিয়া পার্টনার এসবিএস তাঁদের ৭৪টি ভাষায় ‘মাই ল্যাঙ্গুয়েজ মাই ফ্রীডম’অনুষ্ঠানের প্রচার প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানের আগেই এসবিএসের কৌশলগত ও কমুনিটি সমন্বয়কারী বাবস্থাপক লিখিতভাবে একাডেমির পরিচালককে অবহিত করেন।

এ বছর থেকে Radio 2SER মিডিয়া পার্টনার হিসাবে যোগ দিয়েছে। স্কুল কার্যক্রমে হরন্সবি গার্লস হাইস্কুল ছাড়াও এ বছর নূতন সমন্বয় ঘটেছে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার Adelaide High School. সবার উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন; ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং অস্ট্রেলিয়া সহ সারা বিশ্বের ‘মাতৃ ভাষা দিবসে’র প্রতি সম্মান জানানো।

অতিথিদের মাঝে ছিলেন ফেডারেশন অফ কমিউনিটি ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলের নির্বাহী সংগঠক মাইকেল ক্রিস্তোদুলু , হাঙ্গেরিয়ান কাউন্সিল এর প্রেসিডেন্ট ডঃ বেলা কার্ডওস, মোহাম্মাদ আলরুবাই, চিকিৎসক ও ভাষাবিদ ডঃ টেরেন্স মার্ক হলাহান প্রমুখ। মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামী ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল শিক্ষক মিসেস টেমি ট্রেন , থাইউয়ান দাও, নামতুয়ান ট্রেন, মেডিটেরেনিয়ান ভাষা শিক্ষক, টার্কিশ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রতিনিধি কারা আলী, দারি ল্যাঙ্গুয়েজ প্রতিনিধি হসেঞ্জাদা, এরাবিক স্কুলের মিঃ আদিদ আলরুবাই, টারেক জিলাউত, ডঃ হাসান সারোয়ার সহ অনেকেই মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।

একাডেমির ডাকে সাড়া দিয়ে পেনরিথ সিলেকতিভ হাই স্কুলের ছাত্র ইমরান সারোয়ার ‘আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস’ এর উদ্দেশ্যে নিবেদিত নিজের একটি লেখা সবাইকে পড়ে শোনান। লেখাটি পড়ে ইমরান ‘মা আমি তোমাকে ভালবাসি’ বলে নিজের মা ডঃ মাসরেকা সারোয়ারকে আলিঙ্গন করলে অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

অতিথিরা অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা একাডেমির এ আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালন করেন একাডেমির পরিচালক আনোয়ার আকাশ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাষার স্কুল ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা তৈরি ‘I love you mum’ বা ‘মা আমি তোমাকে ভালবাসি’ শিরোনামে মাতৃভাষার সুদীর্ঘ কয়েকটি ব্যানার প্রদর্শিত হয়েছে। যেখানে শতশত স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। নিউ সাউথ ওয়ালেস এর পার্লামেন্ট হাউজে শাহীদ মিনারের পাদদেশে বসে পুরো অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এবং চেয়ারপারসন সাংবাদিক মিঃ স্তিভ আহার্ন এ আয়জনের জন্য একাডেমির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং আগামীতে সকল ভাষার সমন্বয় করে এ প্রকল্পকে আরও সার্থক করে তোলার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আনন্দচিত্তে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।

দ্বিতীয় দিন ২০ ফেব্রুয়ারি ছিল শহীদ মিনার নির্মাণ বিষয়ে ওয়ার্কশপ। একাডেমির এপিং কেন্দ্রে এ ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থপতি ও একাডেমির অঙ্কন শিক্ষক অনিন্দিতা আহমেদ এবং পরিচালক আনোয়ার আকাশ।

এদিন ১৯৫২ সালের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণের ইতিহাস ব্যক্ষা করা হয় এবং প্রথম স্থপতিদের মধ্যে সাঈদ হায়দার ও অন্যান্যদের অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। বর্তমানের মুলনক্সা প্রসঙ্গে স্থপতি হামিদুর রহমানের নক্সাটি একে দেখান আনিন্দিতা আহমেদ। একাডেমির শিশুরা এ সময়ে তাদের সামনে তুলে ধরা শহীদ মিনারের ছবি আঁকে। এবং থিয়েটার সঞ্চালনার মাধ্যমে নিজেরাই শহীদ মিনার এর প্রতিকৃতি ধারণ করে। এ ছাড়াও শহীদ মিনার নির্মাণের ওপর একটি তথ্যমূলক ভিডিও দেখানো হয়। অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন এপিং কেন্দ্রের তানিয়া চৌধুরী।

তৃতীয় দিন ছিল ২১ ফেব্রুয়ারী। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরার আসর বসেছিল একাডেমির ব্ল্যাকটাউন কেন্দ্রে। বাঙ্গালী সহ অন্যান্য ভাষার মানুষের উপস্থিতিতে সমৃদ্ধ হয়েছিল একুশের বইমেলা এবং ভাষার মেলা। প্রথম দিন পার্লামেন্ট হাউজের মত শেষ দিনেও ব্ল্যাকটাউন কেন্দ্রেও অস্থায়ী শহীদ মিনারটি স্থাপন করা হয়।

শহীদ মিনারের পাদদেশে ভাষার প্রদর্শনী, ভিন্ন ভাষার মানুষের সাথে আলাপ চারিতা, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা এবং চিত্রাঙ্কনে অংশ নিয়ে সবাই বাংলাদেশের একুশকে কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছিলেন এদিন। বইমেলা, খাবার ও পানীয়তে সবার অংশ গ্রহণ, একান্তে বই পড়ার আনন্দ; সব মিলে একটা সুন্দর আবহ তৈরি করেছিল এবারের আয়োজন।

বই মেলায় পাওয়া গিয়েছে বাংলা একাডেমি, অবসর, অনন্যা, অঙ্কুর, অন্নেশা, অন্যপ্রকাশ, বাংলা প্রকাশ, বিদ্যাপ্রকাশ, সাহিত্য প্রকাশ, চন্দ্রাবতী, চারুলিপি, দিব্যপ্রকাশ, ইত্যাদি, গতিধারা, কথামেলা, ন্যাশনাল, রোদেলা, সাহিত্য প্রকাশ, শুদ্ধস্বর,সময়, স্টুডেন্ট ওয়েজ, তাম্রলিপি, চন্দ্রাবতী সহ অন্যান্য প্রকাশকের বই।
‘আমার ভাষা আমার স্বাধীনতা’ পর্বে ভিন্ন ভাষার মানুষদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন একাডেমির স্কুল কার্যক্রমের অধ্যক্ষ মিসেস সাইদা হায়দার।

ছোটদের দুটি গ্রুপে ছবি আঁকা পরিচালনা করেন অনিন্দিতা আহমেদ। তিনটি গ্রুপে ছোট, মধ্যম ও বড়দের জন্য সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা সমন্বয় করেন মাসরেকা সারোয়ার, শরিফা শারমিন এবং তানিয়া চৌধুরী। ইমরান সারোয়ার মাতৃভাষার ওপর নিজের লেখা পড়ে শোনান উপস্থিত সুধীজনদের। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সাইদা হায়দার এবং মুনিরা বাসার। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন প্রকৌশলী ফজলে কাদের। আলোচনা পর্বে বাংলা লিখতে পড়তে ও বলতে পারার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন একাডেমির স্কুল শাখার অধ্যক্ষ সাইদা হায়দার এবং অভিভাবক প্রতিনিধি ডঃ মাসরেকা সারোয়ার।

একাডেমি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে একটি সুদৃশ্য পোস্টার প্রকাশ করে এবং প্রচার মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করে। রেডিও টুএসইআর একটি ডিজিটাল প্রচার অব্যাহত রাখে অনুষ্ঠানের শেষ দিন পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বাংলা শিক্ষায় প্রতিটি বাবা-মা কে আরও সচেষ্ট হবার অনুরোধ করেন অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা। এ ছাড়াও গত তিনদিনের এ মহা কর্মযজ্ঞে উপস্থিতি এবং সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন একাডেমির পরিচালক আনোয়ার আকাশ।
The 1986 Mets are an important part of New York Sports history and we’re proud to honor them 25 years later.” Houstons Astros’ infielder Aaron viagra online cheap Boone announced on Wednesday that he is going to be really interesting because we are going to achieve from them. Exercise sildenafil super active strengthens the heart and helps keep the body healthy. The patients might experience some side- effects which include blocked nose, blurred canadian sildenafil vision, nausea, facial flushing and headaches. While these generic cialis in canada toys are normally used for self-pleasure, they are also used during lovemaking sessions with partners.

বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড শাখার উদ্বোধন ও স্বতঃস্ফূর্ত সভা

ব্রিসবেন, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬
লাইলাক শহীদ, ডঃ মুহম্মদ সিদ্দিকী ও শাহেদ সদরুদ্দিন -ব্রিসবেন থেকে

ব্রিসবেনে গতকাল বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে বাংলাদেশের মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হল ভাষা শহীদ এবং একাত্তরের শহীদদের। শুরুতে তাঁদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রিসবেনের বাঙ্গালীরা এদিন সমবেত হয়েছিলেন ‘সেভেনটিন মাইলস রক রিভারসাইড’ পার্কে। ব্রিসবেন নদীর কোল ঘেঁষে মনোরম পরিবেশে এ আয়োজনে জড়ো হয়েছিলেন স্থানীয় বাঙ্গালীরা।

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষাবিদ সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। একাডেমির পরিচালক আনোয়ার আকাশ অনুষ্ঠানের শুরুতেই একাডেমির উপদেষ্টা বাংলাদেশের দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর আনিসুজ্জামানের শুভেচ্ছা বানী সবাইকে পৌঁছে দেন। এর পর শুভেচ্ছাবার্তা জানানো হয় সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় আগত সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলামের পক্ষে। তিনি বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার ‘কোয়ালিটি ইন হায়ার এডুকেশন’ প্রকল্পের একজন সম্মানিত সদস্য।

অনুষ্ঠানের মুল ভাবনা ছিল কুইন্সল্যান্ড এর প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাংলা ভাষার অমিয় বারতা পৌঁছে দেবার কাজের গুরুত্ব আরোপ করা। উপস্থিত সুধীজনদের মধ্যে স্থানীয় কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কুইন্সল্যান্ড কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অনেক প্রতিনিধি তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন। উপস্থিত বক্তাদের মাঝে প্রফেসর তপন সাহা, একেএম শাহিনুজ্জামান, লাইলাক শহীদ, ডঃ শামসুল আরেফিন ভুইয়া, মাহমুদুল আলম খান, শাহেদ সদরুদ্দিন, সঞ্চিতা খান, অনুপ সরকার, কাজী নূরে আলম, নাজমুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মুল আলোচক ছিলেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জনাব আনোয়ার আকাশ। তিনি অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় একাডেমির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষৎ কার্যক্রমের উপর স্লাইড প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এর পরে তিনি উপস্থিত সুধিজনের প্রশ্নের উত্তর করেন। উল্লেখ্য বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়া বিশ্বাঙ্গন থেকে ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করার অভিপ্রায় নিয়ে ‘বাংলা একাডেমি ইন্টারন্যাশনাল’এর যাত্রা শুরু করে|

এ আলোচনার মধ্য দিয়ে কুইন্সল্যান্ডবাসী স্বাগত জানালো ‘বাংলা একাডেমি ইন্টারন্যাশনাল’ এর কার্যক্রমকে। পরিচালক আনোয়ার আকাশ বিশ্বব্যপি ছড়িয়ে থাকা সকল গুণী সদস্যদের কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। এ কাজের সাথে যুক্ত হতে চাইলে বিশ্বের যে কেউ তাঁদের আগ্রহের কথা একাডেমির ওয়েব সাইট থেকে জানাতে পারবেন। গতকাল একাডেমির ওয়েবসাইটের নূতন একটি সংস্করণ পরীক্ষামূলক ভাবে আরম্ভ হয়েছে। যার ঠিকানা www.banglaacademy.com

গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় একটি সেমিনারের মধ্য দিয়ে সেখানে একাডেমির কার্যক্রম শুরু করে। অবিচল আস্থায় ভিক্টোরিয়ার বাঙ্গালীরা সেদিন জুথিবদ্ধ হয়েছিলেন। মেলবোর্ন শহরের প্রাণকেন্দ্র আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার শহীদদের স্মরণের মধ্য দিয়ে মেলবোর্ন এর উজ্জ্বল নক্ষত্র ডঃ প্রতীশ বন্দ্যোপাধ্যায় এর সভাপতিত্বে সে কার্যক্রমের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ভিক্টোরিয়াবাসি। প্রফেসর শরীফ আস-সাবের এর নেতৃত্বে ডঃ সানিয়াত ইসলাম এবং মোরশেদ কামাল সমন্বয়ের কাজ করছেন। এ কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন ভিক্টোরিয়ার অসংখ্য মানুষ। এ ছাড়াও একাডেমি ‘রেডিও বাংলা এডেলেড’ এর আমন্ত্রণে সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় ইতিমধ্যে একটি আলোচনা পর্ব শেষ করেছে ১৯ অগাস্ট ২০১৫। একাডেমির পরিচালক এদিন সকলের সহৃদয় এগিয়ে আসার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

ব্রিসবেনে বছরের শুরুতে মায়ের ভাষার কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছেন অনেকেই। পরিচালকের সঠিক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন, অনুষ্ঠানে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আলাপ, একাডেমি সম্পর্কে জানতে চাওয়া দেখে মনে হয়েছে বিষয়টির সাথে সবাই যুক্ত থাকতে চান। কুইন্সল্যান্ড এর অসংখ্য মানুষ একাডেমির কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হতে চাওয়াটা নিঃসন্দেহে আনন্দের।

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর তপন সাহা এবং ডঃ মুহম্মদ আলাউদ্দিনকে উপদেষ্টা করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা দু’জনেই একাডেমির ‘কোয়ালিটি ইন হায়ার এডুকেশন’ প্রকল্পের সদস্য। এ কমিটিতে সাড়া দিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এ কমিটি পরীক্ষামূলকভাবে কাজ আরম্ভ করবে এবং সময়মত কমিটির সবাইকে পর্যায়ক্রমে পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে। একাডেমির কুইন্সল্যান্ড শাখার পক্ষ থেকে এ কাজকে এগিয়ে নিতে কুইন্সল্যান্ডের সকল বাঙ্গালীকে যূথীবদ্ধ হবার অনুরোধ করা হয়েছে।

নিউ সাউথ ওয়েলস ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার বড় রাজ্য গুলোতে বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে শাখা স্থাপন করেছে। ভিক্টোরিয়া, সাউথ অস্ট্রেলিয়া এবং কুইন্সল্যান্ড এর মধ্যে অন্যতম। এ কার্যক্রমের সাথে অন্য রাজ্যগুলোকেও তাদের আগ্রহের ভিত্তিতে যোগ করা হবে।

মাঝে খাবার দাবারের একটি ছোট্ট বিরতি সহ পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল তথ্য সমৃদ্ধ। দুর দূরান্ত থেকে আসার জন্য একাডেমির পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি ডঃ মুহম্মদ আলাউদ্দিন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আমরা মনে করি আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি যত্নবান হয়ে আগামী প্রজন্ম সমাজের অপসংস্কৃতি আর অন্ধবিশ্বাস থেকে তরুণ প্রজন্মকে মুক্ত রেখে মিথ্যা রোধে এগিয়ে আসবে। একাডেমির এ জাতীয় একটি উন্নয়ন মূলক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বাঙ্গালীরা সুন্দর একটি পথের সন্ধান পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ মহৎ উদ্যোগের জন্য পরিচালক আনোয়ার আকাশ এবং বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানাই।

অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন – বাংলাদেশ

একাডেমির প্রেস রিলিজ

দৈনিক প্রথম আলো

দৈনিক ইত্তেফাক

সাপ্তাহিক

একাডেমির নিবন্ধন পাতা

বিস্তারিত যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগঃ admin@banglaacademy.com