স্বাস্থ্য বিষয়ক | প্রতিদিনের কাগজ থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা পরীক্ষামূলক ভাবে সংযোজন করা হল

life1

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ চিনুন, জীবন বাঁচান

ডিডাব্লিউ | ১৫ আগস্ট ২০১৪

জার্মানির হার্ট ফাউন্ডেশনের হিসেব অনুযায়ী প্রতি বছর আনুমানিক তিন লক্ষ মানুষ হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় জার্মানিতে৷ কিছু নিয়ম মেনে চললে হার্ট অ্যাটাক থেকে দূরে থাকা যায়।

হার্টের অসুখ মানেই মৃত্যু নয়!

সারা বিশ্বে হার্ট অ্যাটাকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়৷ তবে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু অবধারিত নয়৷ জার্মানির হামবুর্গ শহরের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. টোমাস স্টাইন বলেন, ‘‘একটু সচেতন হলেই হার্ট অ্যাটাককে দূরে রাখা সম্ভব৷ অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাক কিন্তু কখনো কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে হয় না৷’’

পেশাগত চাপ নয়

‘‘আজকের এই প্রতিযোগিতার যুগে যেসব মানুষ নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে, অর্থাৎ পেশাগত কারণে চাপের ভেতর থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি৷ তাই কর্মক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশ রক্ষা করতে দ্বন্দ্ব বা সংঘাত এড়িয়ে চলতে হবে’’, বলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ স্টাইন৷

হার্ট অ্যাটাক কি জানিয়ে আসে?

অনেকের ক্ষেত্রেই হার্ট অ্যাটাক একেবারে হঠাৎ করেই হয়৷ অর্থাৎ আগে থেকে কিছুই বোঝা যায় না বা বোঝার উপায়ও থাকে না৷ কারো কারো ক্ষেত্রে অবশ্য দেখা যায় যে, আগেরদিন বা কয়েক ঘণ্টা আগেই শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ যেমন বুকে ব্যথা হচ্ছে, আবার কারো বা মনে হয় দম বা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে৷

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো কী?

এক নাগাড়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ধরে বুকের খাঁচা এবং পেটের ওপরের দিকটায় ব্যথা হয় এবং বমি হয়৷ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ টোমাস বলেন, ‘‘হার্ট অ্যাটাকে মারা যাবার সময় অনেক রোগীকেই বলতে শুনেছি, ‘আর সহ্য করতে পারছি না, বুকে প্রচণ্ড কষ্ট, ব্যথা আর অসম্ভব জ্বালা হচ্ছে’৷’’

হার্ট অ্যাটাকের কারণ বা ঝুঁকিগুলো কী?

অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, মদ্যপান, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ, কম হাঁটা-চলা, ডায়বেটিস ইত্যাদি৷ তাছাড়াও বংশগত কারণেও হৃদরোগ বা স্ট্রোক হতে পারে৷

কিভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব?

বিশেষজ্ঞদের মতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিগুলো থেকে সাবধান থাকলেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব৷ এ জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, অর্থাৎ অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার, মাংস থেকে দূরে থাকা৷ ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত হাঁটাচলা বা ব্যায়াম করা উচিত৷ জীবনযাত্রার মান অনেকক্ষেত্রেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে সক্ষম৷

হার্ট অ্যাটাক মানেই মৃত্যু নয়!

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা গেলে রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখানো উচিত৷ সময়মতো সঠিক চিকিৎসা হলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব৷

স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন

পেশাগত দায়িত্ব, পরিবার, সন্তান এবং অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে আজকের যান্ত্রিক জীবনে ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপ যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে৷ স্ট্রেস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করে৷ তাই স্ট্রেস থেকে বেরিয়ে আসতে হাঁটাহাঁটি, খেলাধুলা, নাচ, গান, বাগান করা বা অন্য কোনো সখকে বেছে নিন, সপ্তাহে অন্তত দু’দিন৷

– – – – – – – – –  :: – :: – – – – – – – – 

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ !

মামুনুর রশিদ | ০৭ নভেম্বর ২০১৫ | বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

আপনি জানেন কি, বুকে ব্যথা অনুভব না করলেও ‘হার্ট অ্যাটাক’ হতে পারে? হৃদযন্ত্রের রোগগুলো সবার ক্ষেত্রে একই লক্ষণ প্রকাশ করেনা।
যদি প্রায়ই কোনো কারণ ছাড়া ক্লান্তি অনুভব করেন তাহলে বুঝতে হবে কোথাও কোনো ঝামেলা হচ্ছে। ছবি: দীপ্ত।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, হৃদপিণ্ডের কেন্দ্রীয় মাংসপেশীতে রক্ত সঞ্চালন ব্যহত হওয়াকে বলা হয় ‘হার্ট অ্যাটাক’, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যা ‘কার্ডিয়াক মাসল ইনফ্র্যাকশন’ নামে পরিচিত।

হার্ট অ্যটাকের লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, “কয়েকটি বিষয় হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে যেমন: বয়স, বংশগত কারণ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টোরল, বাড়তি ওজন, বাজে খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, দুশ্চিন্তা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা।”

তিনি আরও বলেন, “সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের আগে রোগীরা মৃদু বদহজম অনুভব করেন। এই কারণে বদহজমের সমস্যা আছে এমন বয়স্ক মানুষের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো দেখা গেলে তা সাধারণত বুক জ্বালাপোড়া বা অন্যান্য খাবার-বিষয়ক সমস্যা মনে করে অবহেলা করা হয়।”

“সাধারণ বুক জ্বালাপোড়ার সঙ্গে যদি বদহজম ও পাকস্থলি শক্ত হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে আরও কোনো গোলমাল বেঁধেছে। আর বদহজম বা গ্যাসের সমস্যা হলে যদি গ্যাসের ওষুধ খেয়ে ব্যথা উপশম না হয় তবে বুঝতে হবে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা আছে।” বললেন এই চিকিৎসক।

শরীরের ভাষায়, ক্লান্তি এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ছোট হয়ে আসার অর্থ হচ্ছে তার বিশ্রাম প্রয়োজন। পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডে বাড়তি চাপ পড়ার কারণে এটি হৃৎপিণ্ডের সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।

আব্দুর রহমান বলেন, “যদি প্রায়ই কোনো কারণ ছাড়া ক্লান্তি অনুভব করেন তাহলে বুঝতে হবে কোথাও কোনো ঝামেলা হচ্ছে।”

ক্লান্তি এবং নিঃশ্বাস ছোট হওয়া নারীদের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ লক্ষণ এবং হার্ট অ্যাটাকের কয়েক মাস আগ থেকেই তা শুরু হতে পারে। সামান্যতম হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা চোখে পড়লে আপনি বা আপনার আশপাশের যে কারো উচিত হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা।

আব্দুর রহমান বলেন, “শরীরের অন্যান্য অংশেও ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার উপসর্গ দেখা যেতে পারে। রোগীদের একটি বড় অংশ বাম হাতে ব্যথা হওয়ার কথা বলেন। আরও বলেন, ব্যথাটা বাম কাঁধ থেকে বাম হাতের আঙুল পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। তবে শরীরের অন্যান্য স্থানেও যেমন, পেট, পিঠ, গলা, কাঁধ, দাঁত কিংবা থুতনিতেও ব্যথা হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “সব হার্ট অ্যাটাকে শরীরের মধ্যবর্তী অংশে ব্যথা না হলেও, এটিই সবচাইতে বেশি সন্দেহজনক কারণ। শরীরের মধ্যবর্তী অংশে চেপে ধরা ভাব অনুভূত হওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি অন্যতম উপসর্গ। অনেক রোগী এই অবস্থাকে বর্ণনা করেন ‘বুকে হাতির পায়ের পারা দিয়েছে’ এমন অনুভূতি হিসেবে। শরীরের মধ্যবর্তী অংশে এধরনের অনুভূতি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

“শারীরিক কার্যকলাপ কিংবা শরীরচর্চা না করার পরেও স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত ঘাম হওয়াও হার্ট অ্যাটাকের পূর্বলক্ষণ। হৃৎপিণ্ডের বন্ধ হয়ে যাওয়া রক্তনালীগুলোর মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত করতে হৃৎপিণ্ডের প্রচুর কসরত করতে হয়। এসময় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ঘাম বেশি হয়। বিশেষ করে রাতের বেলা বেশি ঘাম হওয়া নারীদের ক্ষেত্রে হৃৎযন্ত্রের সমস্যার একটি সাধারণ কারণ।”

তাই উপরের যেকোনো লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন ডা. আব্দুর রহমান।

– – – – – – – – –  :: – :: – – – – – – – – 

আয়ু বাড়াবেন কিভাবে?

One reviewer could not imagine how anyone could have contemplated such a take without eventually devensec.com super viagra online committing suicide. This helps check this cheap viagra them deal with acceptance in society and/or acceptance with self and in their friend and family circle. Due to such reason, the demands of these practitioner are increasing at a remarkable http://www.devensec.com/rules-regs/decregs105.html discount levitra speed, resulting in amplification of their profitability and revenue to a considerable extent. Some psychological causes of ED are: – Anxiety Depression Guilt Relationship problems Stress viagra ordering Sexual Sexual grief Fear of sexual failure Low self confidence Low self esteem and anxiety in male.
আব্দুল কাইয়ুম | ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ | প্রথম আলো 

আমাদের দেশে মানুষের গড় আয়ু এখন ৬৯ বছর। কিন্তু একটু নিয়ম মেনে চললে ৮০-৯০ বা ১০০ বছরের কাছাকাছি বাঁচা সম্ভব। মানুষের স্বাভাবিক আয়ু ১৫০ বছর হওয়া উচিত বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। কারণ, জন্মের পর থেকে প্রায় ২৫ বছর পর্যন্ত মানুষের শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে এবং এর প্রায় ছয়গুণ সময়কাল তার স্বাভাবিক আয়ু বলে ধরে নেওয়া যায়। তাহলে আসুন দেখি কী করলে আরও কিছু বছর বেশি বাঁচা যায়।

১. গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়ামে বার্ধক্য-প্রক্রিয়ার গতি কমানো যায়। ব্যাপক পরিসরে পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, দিনে মাত্র পাঁচ মিনিট (১০ মিনিটে প্রতি মাইল গতিতে) দৌড়ালে অস্বাভাবিক মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা যায়। তাঁদের অকাল মৃত্যুঝুঁকি অন্তত এক-তৃতীয়াংশ কমে। তাঁদের আয়ু যাঁরা মোটেও ব্যায়াম করেন না, তাঁদের চেয়ে গড়ে অন্তত তিন বছর বেশি বলে নিরীক্ষায় জানা গেছে (নিউইয়র্ক টাইমস, জুলাই ৩০, ২০১৪)।

২. ওজন বাড়তে দেবেন না। সহজ হিসাব হলো, সেন্টিমিটারে উচ্চতা বের করে ১০০ বিয়োগ করলে প্রাপ্ত সংখ্যাটিই হবে আপনার আদর্শ ওজন। আর দেখতে হবে আপনার পেটের পরিসীমা (ভুঁড়ির বেড়) যেন উচ্চতার অর্ধেকের বেশি না হয়।

৩. পরিমিত খাবার খাবেন। শাকসবজি থাকবে বেশি। দিনে অন্তত পাঁচ রঙের পাঁচ রকমের ফল খাবেন পরিমিত মাত্রায়। রান্নার জন্য সূর্যমুখী বা সয়াবিন তেলের সঙ্গে জলপাই তেল (অলিভ অয়েল) সমান অনুপাতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটা অসম্পৃক্ত চর্বির আদর্শ সংমিশ্রণ। ভাজা-পোড়া খাবারে ক্ষতিকর চর্বি (ট্রান্সফ্যাট) থাকে, যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে (হার্ভার্ড মেডিকেল পাবলিকেশন্স)। সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত প্রাণিজ গোশতের চেয়ে মাছ ভালো। চিনির চেয়ে গুড় ভালো।

৪. প্রতিদিন অন্তত সাত ঘণ্টার ঘুম দরকার। দুপুরে অন্তত ১৫-২০ মিনিটের হালকা ঘুম খুব উপকারী। এতে আয়ু বাড়ে। কয়েক বছর আগে ইউনিভার্সিটি অব এথেন্স ও হার্ভার্ডের স্কুল অব পাবলিক হেলথের একদল গবেষক দুপুরে সামান্য ঘুমান এমন ২৩ হাজার গ্রিক নাগরিকের ওপর দীর্ঘ ছয় বছর ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে দেখেছেন, তাঁদের কারও হৃদরোগ, ক্যানসার বা স্ট্রোক হয়নি। তাঁদের সিদ্ধান্ত দুপুরের সামান্য ঘুম আপনার জীবন রক্ষা করতে পারে, আয়ু বাড়াতে পারে। মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ শত কাজের মধ্যেও প্রতিদিন দুপুরে ১৫ মিনিটের জন্য হলেও ঘুমিয়ে নেন। তাঁর বয়স এখন প্রায় ৯০।

৫. সিগারেট পান একেবারে নিষেধ। ধূমপানে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের ধূমপান ছাড়ার বছর দুয়েকের মধ্যে হৃদরোগের আশঙ্কা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে, ধূমপানের সঙ্গে যুক্ত ক্যানসারের আশঙ্কা প্রতিবছর কমতে থাকে। ১৫ বছরের মধ্যে ধূমপানের সব ধরনের ক্ষতি দূর হয়ে যায়। সুতরাং আজই ধূমপান বাদ দিন।